Skip to main content

আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়


আঁচিল এক প্রকার ভাইরাসজনিত সংক্রামণ। এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে উঠতে দেখা যায়। আঁচিল কিছুটা ফোস্কার মত। মুখের ত্বকে উঠলে এটি খুব বিব্রতকর দেখায়। আঁচিল সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়। উঠলে যেন আর যেতেই চায় না। তাই আঁচিল দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাওয়া হয়। এই ওষুধের পরিবর্তে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে আঁচিল দূর করতে পারেন।

১) কলার খোসা : কলার খোসার মাধ্যমে আঁচিল দূর করা সম্ভব। খোসার ভিতরের অংশটি বের করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এখন আঁচিলের উপর লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে।


২) টি ট্রি অয়েল : টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের যে কোন ইনফেকশন দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমে কিছু তুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার টি ট্রি অয়েলে ভিজিয়ে নিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। কয়েক ঘন্টা এভাবে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।


৩) রসুন : রসুনের মাধ্যমেও আঁচিল সহজে দূর করা যায়। কয়েকটি রসুনের কোয়া কুচি করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ত্বকের আঁচিলের উপর লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশিক্ষণ রাখবেন না, ক্ষতি হতে পারে।


৪) পেঁয়াজের রস : আঁচিল দূর করতে পেঁয়াজেরও প্রয়োজন রয়েছে। পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিন। পেঁয়াজ কুচি ও আধা চামচ লবণ মিশিয়ে সারাদিন ঢাকনা দিযে রেখে দিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি আঁচিলের উপর ব্যবহার করুন। পরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিরাতে এটি ব্যবহার করুন দেখবেন আঁচিল দ্রুত সেরে গেছে।


৫) অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আঁচিলের উপর কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসেজ করুন। ত্বকে জেল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করলেই হবে।

৬)আপেল সাইডার ভিনেগার:

আপেল সাইডার ভিনেগারের এসিড উপাদান আঁচিল অপসারণে অনেক জনপ্রিয়।

· কটন বলে আপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে আঁচিলে লাগান  

· এরপর একটি ব্যান্ডেজ লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন

· এভাবে ১০ দিন করুন বা আঁচিল পড়ে যাওয়া পর্যন্ত করুন

· আপেল সাইডার ভিনেগার লাগানোর আগে আঁচিলের চারপাশের ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলী লাগিয়ে নিন।

· আপেল সাইডার ভিনেগার লাগানোর ফলে আঁচিলের অবস্থা খারাপ হতে পারে, তবে তা এক সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। আঁচিল যাওয়ার পর দাগ থেকে গেলে নারিকেল তেল লাগান।


৭) বেকিং সোডা ও ক্যাস্টর অয়েল


আঁচিল অদৃশ্য হওয়ার জন্য বেকিং সোডা অনেক দ্রুত কাজ করে। এক চামচ বেকিং সোডাতে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আঁচিলের উপর দিয়ে সারারাত রাখুন। নিয়মিত ১৫ দিন এভাবে করলে আঁচিল দূর হবে।


৮)। ডালিমের খোসা ও লেবুর রস

আঁচিল দূর করতে লেবুর রস চমৎকার কাজ করে। ডালিমের খোসা ৩-৪ দিন রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুড়া করে নিন। ডালিমের খোসার গুঁড়োর সাথে কয়েকফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আঁচিলে লাগান।

আঁচিল অপসারণের জন্য আনারসের রস, অ্যালোভেরা জেল, টি ট্রি অয়েল, পেঁয়াজের রস, মধু, কাজু বাদাম, আয়োডিন, আপেল ও মুলা ইত্যাদি উপাদানগুলো ও কার্যকরী।


Comments

Popular posts from this blog

Puthia temple - Intime Alok biswas

তলপেটে ব্যথাবোধ কারণ

 ১। ডাইভারকুলিটিস আমাদের বৃহদান্ত্রের গা ঘেঁষে জন্ম নেওয়া ডাইভারটিকুলায় পানি জমলে সেগুলো ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। এমন কিছু হলে তলপেটের বামপাশে ব্যথার সাঙ্গে সাঙ্গে আপনার জ্বর থাকবে এবং মলের সাথে রক্ত বের হবে। ২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস বৃহদান্ত্রের ঠিক বাইরেই অবস্থিত অ্যাপেন্ডিক্স সংক্রমণের শিকার হলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস তৈরি হয়। এক্ষেত্রে, হালকা ব্যথা (পেটের একপাশ থেকে অন্যপাশে স্থানান্তরিত হয় এই ব্যথা), জ্বর, বমিভাব এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। ৩। আইবিএস বা ইররিটেবল বাউল সিস্টেম পেটের হজমসংক্রান্ত সমস্যার কারণে এমনটা হয়। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে এক্ষেত্রে রোগী গ্যাস্ট্রিক, পেটব্যথা ও পেটের ছোটখাটো সমস্যায় ভুগে থাকেন। ৪। আইবিডি বা ইনফ্ল্যামেটরি বাউল ডিজিজ কোলোনের বিভিন্ন অংশকে বাজেভাবে আক্রান্ত করে এই রোগটি। এক্ষেত্রে রোগী তলপেটে প্রচুর ব্যথাবোধ করেন। সেইসাথে, মলের সাথে রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া এবং কোলোনে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। ৫। হার্নিয়া বিভিন্ন অঙ্গের চারপাশে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে হার্নিয়া হয়ে থাকে। এতে করে রোগী হাঁটতে গেলে ব্যথাবোধ করেন। সাথে হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া এবং পেটে বাড়তি ওজ

Intime Alok Biswas intimealok