Skip to main content

Posts

Showing posts from September 13, 2020

নিমপাতার গুনাগুন ও উপকারিতা

নিম পাতা প্রায় সবার কাছে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রাম-বাংলায় নিম গাছ বেশি দেখা যায়। ভেষজ চিকিৎসায় নিম পাতার ব্যবহার বহুল। নিম গাছের ভয়ে এইডস্ কাঁপে’ – হ্যাঁ কথাটি ঠিকই পড়ছেন, নিম পাতা এইডস্ এর ভাইরাসকে মেরে ফেলতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যদি বাড়িতে একটি নিমগাছ থাকে একজন ডাক্তারের চেয়ে ও বেশী কাজ করে। নিম (বৈজ্ঞানিক নাম:AZADIRACHTA INDICA) ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, বাকল, শিকড় সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতায় ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে। পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়। আঙুরের মতো দেখতে এ ফলের একটিই বিচি থাকে। জুন-জুলাইতে ফল পাকে, ফল তেতো স্বাদের। বাংলাদেশের সবত্রই জন্মে তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়।   চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিমপাতার অসাধারণ গুনাবলী নিমগাছের বাকল ও শিকড় ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে এছাড়া ব্রুণ, চুলকানি ও এ

অ্যালোভেরার ১২টি বিস্ময়কর উপকারিতা

 অ্যালোভেরার ১২টি অতুলনীয় উপকারিতা ১। হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরা আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্তর করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। ২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। ৩। দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব। ৪। ওজন হ্রাস করতে অ্যালোভেরা ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ৫। হ

তুলসীপাতার গুণাবলীসমূহ

 তুলসী একটি মহা ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসীপাতা আমাদের ও ভারতীয়দের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ হিসেবে পরিচিত। এই পাতার মধ্যে আছে সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর গুনাগুন। এটি পূজার কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়াও সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে । তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এর গন্ধবাহী বায়ু যে দিকেই অর্থাৎ দশদিকে যাক না কেন সবদিকে সে বায়ুকে দুষণমুক্ত করে। এছাড়া তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে। আর এইজন্য তুলসীকে বলা হয় ভেষজের রানী। নিচে এর অসাধারণ গুনের কথা তুলে ধরা হলো।   ১। ক্যান্সার নিরাময়ে তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমা

শসার অসাধারণ পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

 শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়েট করার ক্ষেত্রে শসা অসধারন বন্ধু হতে পারে আপনার। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে যেমন সামলে রাখছে তেমনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। আসুন জেনে নেয়া যাক চিরচেনা শসার অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।   বিষাক্ত টক্সিন দূর করণে শসা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় কোন চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস। ভিটামিনের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা

 পাথরকুচি অতিপরিচিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা প্রকার ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্য পাথরকুচি গাছ উল্লেখ্য। পাথরকুচি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। দেখতে ঝালরবাতির মতো। ভিতরে ফাঁপা। ফুল লম্বায় এক থেকে দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। পুষ্পের বাইরের দিকে সবুজ লাল ও সাদা দাগ থাকে। শীতকালে ফুল ও গ্রীস্মকালে ফল হয়। ঔষধি গুণ : মেহ, সর্দি, মূত্র রোধে, রক্তপিত্তে, পেটফাঁপায়, শিশুদের পেটব্যথায়, মৃগীরোগে পাথরকুচির ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। চলুন আরো কিছু গুনাগুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার।   সর্দি যে সর্দি পুরানো হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপযোগী। এই কফ বিকারে পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। ৩ চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে ২ চা চামচ