Skip to main content

Posts

Showing posts from 2020

নিমপাতার গুনাগুন ও উপকারিতা

নিম পাতা প্রায় সবার কাছে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রাম-বাংলায় নিম গাছ বেশি দেখা যায়। ভেষজ চিকিৎসায় নিম পাতার ব্যবহার বহুল। নিম গাছের ভয়ে এইডস্ কাঁপে’ – হ্যাঁ কথাটি ঠিকই পড়ছেন, নিম পাতা এইডস্ এর ভাইরাসকে মেরে ফেলতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যদি বাড়িতে একটি নিমগাছ থাকে একজন ডাক্তারের চেয়ে ও বেশী কাজ করে। নিম (বৈজ্ঞানিক নাম:AZADIRACHTA INDICA) ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, বাকল, শিকড় সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতায় ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে। পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়। আঙুরের মতো দেখতে এ ফলের একটিই বিচি থাকে। জুন-জুলাইতে ফল পাকে, ফল তেতো স্বাদের। বাংলাদেশের সবত্রই জন্মে তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়।   চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিমপাতার অসাধারণ গুনাবলী নিমগাছের বাকল ও শিকড় ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে এছাড়া ব্রুণ, চুলকানি ও এ

অ্যালোভেরার ১২টি বিস্ময়কর উপকারিতা

 অ্যালোভেরার ১২টি অতুলনীয় উপকারিতা ১। হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরা আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্তর করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। ২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। ৩। দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব। ৪। ওজন হ্রাস করতে অ্যালোভেরা ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ৫। হ

তুলসীপাতার গুণাবলীসমূহ

 তুলসী একটি মহা ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসীপাতা আমাদের ও ভারতীয়দের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ হিসেবে পরিচিত। এই পাতার মধ্যে আছে সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর গুনাগুন। এটি পূজার কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়াও সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে । তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এর গন্ধবাহী বায়ু যে দিকেই অর্থাৎ দশদিকে যাক না কেন সবদিকে সে বায়ুকে দুষণমুক্ত করে। এছাড়া তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে। আর এইজন্য তুলসীকে বলা হয় ভেষজের রানী। নিচে এর অসাধারণ গুনের কথা তুলে ধরা হলো।   ১। ক্যান্সার নিরাময়ে তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমা

শসার অসাধারণ পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

 শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়েট করার ক্ষেত্রে শসা অসধারন বন্ধু হতে পারে আপনার। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে যেমন সামলে রাখছে তেমনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। আসুন জেনে নেয়া যাক চিরচেনা শসার অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।   বিষাক্ত টক্সিন দূর করণে শসা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় কোন চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস। ভিটামিনের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা

 পাথরকুচি অতিপরিচিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা প্রকার ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্য পাথরকুচি গাছ উল্লেখ্য। পাথরকুচি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। দেখতে ঝালরবাতির মতো। ভিতরে ফাঁপা। ফুল লম্বায় এক থেকে দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। পুষ্পের বাইরের দিকে সবুজ লাল ও সাদা দাগ থাকে। শীতকালে ফুল ও গ্রীস্মকালে ফল হয়। ঔষধি গুণ : মেহ, সর্দি, মূত্র রোধে, রক্তপিত্তে, পেটফাঁপায়, শিশুদের পেটব্যথায়, মৃগীরোগে পাথরকুচির ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। চলুন আরো কিছু গুনাগুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার।   সর্দি যে সর্দি পুরানো হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপযোগী। এই কফ বিকারে পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। ৩ চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে ২ চা চামচ

কোমর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার

 কোমর ব্যথার কারণ সাধারণত দেখা যায় মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। চলাফেরা, খুব বেশি ভার বা ওজন তোলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া, সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে এ ব্যথা দেখা যায়। অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসে সমস্যা,বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি। কোমর ব্যথার লক্ষণ কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছন

পেটের বাঁ পাশে ব্যথার ১৩ কারণ

 যেসব কারণে পেটের বাঁ​ পাশে ব্যথা হয় ডাইভার্টিকিউলিটিস: আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল সোসাইটি ডাইভার্টিকিউলিটিসকে কোলনের প্রাচীরের পকেট বা ডাইভার্টিকিউলার প্রদাহ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে। ডাক্তার লিগরেস্টি বলেন, ‘পেটের বাঁ পাশের নিম্নভাগে ব্যথার একটি সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে ডাইভার্টিকিউলিটিস এবং তা ক্লাসিক্যালি এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জ্বর, মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, মাঝেমাঝে মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, ঠান্ডা শরীর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়।’ মারাত্মক পরিস্থিতিতে ডাইভার্টিকিউলিটিস রক্তপাত, ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ব্লকেজের দিকে ধাবিত করতে পারে। এটি নির্ণয়ের জন্য শারীরিক পরীক্ষা এবং ইমেজিং টেস্ট প্রয়োজন হবে। কোলাইটিস: ডাইভার্টিকিউলিটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যথা প্রায়ক্ষেত্রে হঠাৎ করে আবির্ভুত হলেও কোলাইটিস বা কোলনের প্রদাহের উপসর্গ প্রকাশ পায় অধিক ধীরে ধীরে। ডা. লিগরেস্টি বলেন, ‘এছাড়া কোলাইটিস অন্ত্রের কার্যক্রমের পরিবর্তন যেমন- ডায়রিয়া বা রক্তময় ডায়রিয়া নিয়ে হাজির হয়, যেখানে ডাইভারটিকিউলাইটিসের ক্ষেত্রে সাধারণত তা হয় না।’ ইনফেকশন (যেমন- ফুড পয়জনিং), অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ এবং অটোইমিউন প্

পেটের ডান পাশে ব্যথার ১০ কারণ

 পেটে গ্যাস জমেছে: আপনার পাকস্থলির অবস্থান হচ্ছে নাভির উপরে, তাই প্রায়ক্ষেত্রে গ্যাস জনিত ব্যথা পাকস্থলির অবস্থান বরাবর অথবা বামে অনুভূত হয়। কিন্তু কখনো কখনো এ ব্যথা পেটের ডানদিকে ছড়িয়ে পড়ে, বলেন ডা. ফিনকেলস্টোন। আপনি কি ডায়েটে পরিবর্তন এনেছেন? প্রচুর পরিমাণে এমন খাবার খেয়েছেন (যেমন- ব্রোকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস ও ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি, শিম বিচি বা বিনস) যা আপনাকে গ্যাসীয় করতে পারে? সময় পরিক্রমায় এ গ্যাস দূর হয়ে যায়। এসময় হাঁটলে উপকার পেতে পারেন। বদহজম হয়েছে: বদহজম হলে কি খেয়েছেন তা চেক করুন। বদহজমে আপনার পেটের উপরিভাগে ডানদিকে জ্বালাপোড়ার মতো ব্যথা হতে পারে। বদহজম নিজে মারাত্মক নয়- আপনি বেশি পরিমাণে ফাস্ট ফুড, অ্যালকোহল বা কফি ও টমেটোর মতো অ্যাসিডিক খাবার খেলে বদহজম হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজ (এনআইডিডিকে) অনুসারে। বদহজমের ব্যথা নিজে নিজে চলে যায় এবং এ ব্যথা দু’সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। পেশিতে টান পড়েছে: একটি কঠোর কার্ডিও সেশন আপনার পেটের ডানদিকে ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে: সচরাচরের চেয়ে দ

তলপেটে ব্যথাবোধ কারণ

 ১। ডাইভারকুলিটিস আমাদের বৃহদান্ত্রের গা ঘেঁষে জন্ম নেওয়া ডাইভারটিকুলায় পানি জমলে সেগুলো ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। এমন কিছু হলে তলপেটের বামপাশে ব্যথার সাঙ্গে সাঙ্গে আপনার জ্বর থাকবে এবং মলের সাথে রক্ত বের হবে। ২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস বৃহদান্ত্রের ঠিক বাইরেই অবস্থিত অ্যাপেন্ডিক্স সংক্রমণের শিকার হলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস তৈরি হয়। এক্ষেত্রে, হালকা ব্যথা (পেটের একপাশ থেকে অন্যপাশে স্থানান্তরিত হয় এই ব্যথা), জ্বর, বমিভাব এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। ৩। আইবিএস বা ইররিটেবল বাউল সিস্টেম পেটের হজমসংক্রান্ত সমস্যার কারণে এমনটা হয়। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে এক্ষেত্রে রোগী গ্যাস্ট্রিক, পেটব্যথা ও পেটের ছোটখাটো সমস্যায় ভুগে থাকেন। ৪। আইবিডি বা ইনফ্ল্যামেটরি বাউল ডিজিজ কোলোনের বিভিন্ন অংশকে বাজেভাবে আক্রান্ত করে এই রোগটি। এক্ষেত্রে রোগী তলপেটে প্রচুর ব্যথাবোধ করেন। সেইসাথে, মলের সাথে রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া এবং কোলোনে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। ৫। হার্নিয়া বিভিন্ন অঙ্গের চারপাশে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে হার্নিয়া হয়ে থাকে। এতে করে রোগী হাঁটতে গেলে ব্যথাবোধ করেন। সাথে হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া এবং পেটে বাড়তি ওজ

হাঁচি বন্ধ বা সামলানোর ১০ উপায়

 # এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। # মুখের ওপরের অংশে ভালও করে মালিশ (ম্যাসাজ) করুন। প্রয়োজনে গলার পেছনের অংশে হালকা মালিশ করুন। এতেও হাঁচি কমবে। # বেশি করে পানি পান করুন। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানি খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। # যখন নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন তখন নাকে হালকা করে চাপ দিন। এটি হাঁচির সমস্যা কমাতে সহায়ক। # হাঁচি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হলো দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন হাঁচি নিমেষেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। # হাঁচি বন্ধ করতে লেবুর রসের সঙ্গে আদা কুচিও খেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন। # যদি হঠাৎ করে হাঁচি ওঠে, তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। সমস্যা মিটে যাবে। # কাগজের ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নিশ্বাস নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন। # লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। # হাঁচি বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে সেটি চুষুন। এটি হাঁচি বন্ধ করতে বেশ কার্যকর।

আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়

আঁচিল এক প্রকার ভাইরাসজনিত সংক্রামণ। এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে উঠতে দেখা যায়। আঁচিল কিছুটা ফোস্কার মত। মুখের ত্বকে উঠলে এটি খুব বিব্রতকর দেখায়। আঁচিল সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়। উঠলে যেন আর যেতেই চায় না। তাই আঁচিল দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাওয়া হয়। এই ওষুধের পরিবর্তে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে আঁচিল দূর করতে পারেন। ১) কলার খোসা : কলার খোসার মাধ্যমে আঁচিল দূর করা সম্ভব। খোসার ভিতরের অংশটি বের করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এখন আঁচিলের উপর লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। ২) টি ট্রি অয়েল : টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের যে কোন ইনফেকশন দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমে কিছু তুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার টি ট্রি অয়েলে ভিজিয়ে নিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। কয়েক ঘন্টা এভাবে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। ৩) রসুন : রসুনের মাধ্যমেও আঁচিল সহজে দূর করা যায়। কয়েকটি রসুনের কোয়া কুচি করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি

Find losted Android phone

  Find My Device is an application and service provided by Google to remotely trace and locate such as phones, tablets and watches using a map. Find, lock, or erase a lost Android device If you lose an Android phone or tablet, or Wear OS watch, you can find, lock, or erase it. If you've added a Google Account to your device, Find My Device is automatically turned on.  To find, lock, or erase an Android phone, that phone must: Be turned on Be signed in to a Google Account Be connected to mobile data or Wi-Fi Be visible on Google Play Have Location turned on Have Find My Device turned on Remotely find, lock, or erase Go to android.com/find and sign in to your Google Account. If you have more than one phone, click the lost phone at the top of the screen. If your lost phone has more than one user profile, sign in with a Google Account that's on the main profile. The lost phone gets a notification. On the map, you'll get info about where the phone is. The location is approximat

Boro Ahnik Mondir

Add caption  

নতুন চুল গজানোর উপায়

১/ক্যাস্টর অয়েল:  ১ থেকে ২চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও ২ থেকে ৩টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। পদ্ধতি – ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতর যে তেল থাকে সেটা মেশান।এরপর জাস্ট ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।সারারাত একে রেখে দিন।পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এক্ষেত্রে কোনো মাইলড শ্যাম্পুই ভালো বা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নাও পান তাহলেও অসুবিধা নেই।শুধু ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। সপ্তাহে দুদিন করুন।খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফল পাবেন।তবে পর পর দুদিন নয়।কারণ এই তেল খুব ঘন।মাঝে তিন চারদিন ছেড়ে মাখুন।আর সপ্তাহে দুদিন মাখার সময় না থাকলে,শুধু ছুটির দিনটিই মেখে নিন।একমাসের মধ্যেই মাথায় নতুন চুল চোখে পড়বে।  ২/ পেঁয়াজের রসঃ  পেঁয়াজ আছে প্রচুর সালফার যা নতুন চুল গজাতে দারুণ উপকারী।তাই পেঁয়াজ সত্যি অনবদ্য নতুন চুল গজাতে। উপকরণ – ১টা পেঁয়াজ। পদ্ধতি – একটা পেঁয়াজ নিয়ে একটু ব্লেণ্ড করে নিন।এরপর এটা থেকে চিপে রস বার করে নিন।এই রস স্ক্যাল্পে হালকা একটু ম্যাসাজ করে লাগান।দুঘণ্টা রেখে দিন।সব থেকে ভালো আগেরদিন রাতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিলে।তারপর পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন বা একটু পেঁয়াজ কে

চুল পড়া রোধে খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন

  চুল পড়া রোধে খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন –  ১) খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম মাছ মাংস এগুলি রাখবেন। ২) এছাড়াও আমলকি, স্পিনাচ, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বাদাম, স্যালমন মাছ, ইত্যাদি চুল পড়া রোধ করে। ৩) মটরশুটি, সোয়াবিন, জাতীয় খাদ্যগুলি খাদ্য তালিকায় রাখবেন। এটি শরীরের ভেতর থেকে মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ৪) এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলবেন। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ৫) সবকিছুর সাথে দিনে ৪ থেকে ৫ লিটার জল খেতে হবে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া উপায় –  ১) নারকেলের দুধ দিয়েই করুন চুলের যত্ন: চুল পরিচর্যার জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নারকেলের দুধ। এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অন্যতম উপাদান। এর মধ্যে কোন রাসায়নিক উপাদান না থাকার কারণে এটি চুলকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। এছাড়াও চুলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে দ্রুত করে তোলে। এছাড়াও চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।  কি কি উপাদান প্রয়োজন? নারকেল – ১টি শাওয়ার ক্যাপ – ১ টি কিভাবে ব্যবহার করবেন ? নারকেলের দুধ বাজারে যে কোন দোকানেই প্যাকেটে কিংবা গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্যাকেটজাত নারকেল দুধ ব্যবহার না করে খুব সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই বানিয়ে নিন নারকেলের দুধ।  একটি নারকেল নিন। তারপর নারকেলটি কুড়িয়ে নারকেলের সাদা অংশটি আলাদা করে রাখুন। এরপর একটি পরিষ্কার সাদা কাপড় নিয়ে তার মধ্যে নারকেলের গুঁড়ো গুলি একসাথে রেখে কাপড়টি শক্ত করে বেঁধে চেপে চেপে সেই নারকেল থেকে দুধ বের করে নিন। এরপর একটি কাপের এক চতুর্থাংশ নারকেলের দুধ নিয়ে সেটি উষ্ণ গরম করে নিন। তারপর উষ্ণ গরম হওয়া দুধটি মাথার ত্বকে ১৫ মিনিট ধরে হাতের আঙ্গুল দ