Skip to main content

Posts

Showing posts with the label Health

তুলসীপাতার গুণাবলীসমূহ

 তুলসী একটি মহা ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসীপাতা আমাদের ও ভারতীয়দের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ হিসেবে পরিচিত। এই পাতার মধ্যে আছে সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর গুনাগুন। এটি পূজার কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়াও সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে । তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এর গন্ধবাহী বায়ু যে দিকেই অর্থাৎ দশদিকে যাক না কেন সবদিকে সে বায়ুকে দুষণমুক্ত করে। এছাড়া তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে। আর এইজন্য তুলসীকে বলা হয় ভেষজের রানী। নিচে এর অসাধারণ গুনের কথা তুলে ধরা হলো।   ১। ক্যান্সার নিরাময়ে তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমা

শসার অসাধারণ পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

 শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়েট করার ক্ষেত্রে শসা অসধারন বন্ধু হতে পারে আপনার। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে যেমন সামলে রাখছে তেমনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। আসুন জেনে নেয়া যাক চিরচেনা শসার অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।   বিষাক্ত টক্সিন দূর করণে শসা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় কোন চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস। ভিটামিনের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা

 পাথরকুচি অতিপরিচিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা প্রকার ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্য পাথরকুচি গাছ উল্লেখ্য। পাথরকুচি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। দেখতে ঝালরবাতির মতো। ভিতরে ফাঁপা। ফুল লম্বায় এক থেকে দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। পুষ্পের বাইরের দিকে সবুজ লাল ও সাদা দাগ থাকে। শীতকালে ফুল ও গ্রীস্মকালে ফল হয়। ঔষধি গুণ : মেহ, সর্দি, মূত্র রোধে, রক্তপিত্তে, পেটফাঁপায়, শিশুদের পেটব্যথায়, মৃগীরোগে পাথরকুচির ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। চলুন আরো কিছু গুনাগুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার।   সর্দি যে সর্দি পুরানো হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপযোগী। এই কফ বিকারে পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। ৩ চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে ২ চা চামচ

হাঁচি বন্ধ বা সামলানোর ১০ উপায়

 # এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। # মুখের ওপরের অংশে ভালও করে মালিশ (ম্যাসাজ) করুন। প্রয়োজনে গলার পেছনের অংশে হালকা মালিশ করুন। এতেও হাঁচি কমবে। # বেশি করে পানি পান করুন। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানি খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। # যখন নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন তখন নাকে হালকা করে চাপ দিন। এটি হাঁচির সমস্যা কমাতে সহায়ক। # হাঁচি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হলো দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন হাঁচি নিমেষেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। # হাঁচি বন্ধ করতে লেবুর রসের সঙ্গে আদা কুচিও খেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন। # যদি হঠাৎ করে হাঁচি ওঠে, তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। সমস্যা মিটে যাবে। # কাগজের ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নিশ্বাস নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন। # লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। # হাঁচি বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে সেটি চুষুন। এটি হাঁচি বন্ধ করতে বেশ কার্যকর।

আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়

আঁচিল এক প্রকার ভাইরাসজনিত সংক্রামণ। এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে উঠতে দেখা যায়। আঁচিল কিছুটা ফোস্কার মত। মুখের ত্বকে উঠলে এটি খুব বিব্রতকর দেখায়। আঁচিল সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়। উঠলে যেন আর যেতেই চায় না। তাই আঁচিল দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাওয়া হয়। এই ওষুধের পরিবর্তে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে আঁচিল দূর করতে পারেন। ১) কলার খোসা : কলার খোসার মাধ্যমে আঁচিল দূর করা সম্ভব। খোসার ভিতরের অংশটি বের করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এখন আঁচিলের উপর লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। ২) টি ট্রি অয়েল : টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের যে কোন ইনফেকশন দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমে কিছু তুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার টি ট্রি অয়েলে ভিজিয়ে নিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। কয়েক ঘন্টা এভাবে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। ৩) রসুন : রসুনের মাধ্যমেও আঁচিল সহজে দূর করা যায়। কয়েকটি রসুনের কোয়া কুচি করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি

নতুন চুল গজানোর উপায়

১/ক্যাস্টর অয়েল:  ১ থেকে ২চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও ২ থেকে ৩টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। পদ্ধতি – ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতর যে তেল থাকে সেটা মেশান।এরপর জাস্ট ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।সারারাত একে রেখে দিন।পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এক্ষেত্রে কোনো মাইলড শ্যাম্পুই ভালো বা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নাও পান তাহলেও অসুবিধা নেই।শুধু ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। সপ্তাহে দুদিন করুন।খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফল পাবেন।তবে পর পর দুদিন নয়।কারণ এই তেল খুব ঘন।মাঝে তিন চারদিন ছেড়ে মাখুন।আর সপ্তাহে দুদিন মাখার সময় না থাকলে,শুধু ছুটির দিনটিই মেখে নিন।একমাসের মধ্যেই মাথায় নতুন চুল চোখে পড়বে।  ২/ পেঁয়াজের রসঃ  পেঁয়াজ আছে প্রচুর সালফার যা নতুন চুল গজাতে দারুণ উপকারী।তাই পেঁয়াজ সত্যি অনবদ্য নতুন চুল গজাতে। উপকরণ – ১টা পেঁয়াজ। পদ্ধতি – একটা পেঁয়াজ নিয়ে একটু ব্লেণ্ড করে নিন।এরপর এটা থেকে চিপে রস বার করে নিন।এই রস স্ক্যাল্পে হালকা একটু ম্যাসাজ করে লাগান।দুঘণ্টা রেখে দিন।সব থেকে ভালো আগেরদিন রাতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিলে।তারপর পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন বা একটু পেঁয়াজ কে

চুল পড়া রোধে খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন

  চুল পড়া রোধে খাদ্য তালিকায় কি কি রাখবেন –  ১) খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম মাছ মাংস এগুলি রাখবেন। ২) এছাড়াও আমলকি, স্পিনাচ, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বাদাম, স্যালমন মাছ, ইত্যাদি চুল পড়া রোধ করে। ৩) মটরশুটি, সোয়াবিন, জাতীয় খাদ্যগুলি খাদ্য তালিকায় রাখবেন। এটি শরীরের ভেতর থেকে মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ৪) এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলবেন। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ৫) সবকিছুর সাথে দিনে ৪ থেকে ৫ লিটার জল খেতে হবে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া উপায় –  ১) নারকেলের দুধ দিয়েই করুন চুলের যত্ন: চুল পরিচর্যার জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নারকেলের দুধ। এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অন্যতম উপাদান। এর মধ্যে কোন রাসায়নিক উপাদান না থাকার কারণে এটি চুলকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। এছাড়াও চুলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে দ্রুত করে তোলে। এছাড়াও চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।  কি কি উপাদান প্রয়োজন? নারকেল – ১টি শাওয়ার ক্যাপ – ১ টি কিভাবে ব্যবহার করবেন ? নারকেলের দুধ বাজারে যে কোন দোকানেই প্যাকেটে কিংবা গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্যাকেটজাত নারকেল দুধ ব্যবহার না করে খুব সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই বানিয়ে নিন নারকেলের দুধ।  একটি নারকেল নিন। তারপর নারকেলটি কুড়িয়ে নারকেলের সাদা অংশটি আলাদা করে রাখুন। এরপর একটি পরিষ্কার সাদা কাপড় নিয়ে তার মধ্যে নারকেলের গুঁড়ো গুলি একসাথে রেখে কাপড়টি শক্ত করে বেঁধে চেপে চেপে সেই নারকেল থেকে দুধ বের করে নিন। এরপর একটি কাপের এক চতুর্থাংশ নারকেলের দুধ নিয়ে সেটি উষ্ণ গরম করে নিন। তারপর উষ্ণ গরম হওয়া দুধটি মাথার ত্বকে ১৫ মিনিট ধরে হাতের আঙ্গুল দ