Skip to main content

অ্যালোভেরার ১২টি বিস্ময়কর উপকারিতা

 অ্যালোভেরার ১২টি অতুলনীয় উপকারিতা

১। হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরা

আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্তর করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।


২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।


৩। দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।


৪। ওজন হ্রাস করতে অ্যালোভেরা

ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


৫। হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।


৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।


৭। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।


৮। রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা হল অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান করে দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


৯। মুখের দূরগন্ধ দূর করতে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন-সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণাই দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।


১০। চুল সুন্দর করতে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যাই না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমল চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। সুতরাং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসংগী।


১১। মুখের ঘা সারাতে অ্যালোভেরা

অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকারী। ঘায়ের জায়গায় এলভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়।


১২। ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা

গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো থেকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।


১৩। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য কর

অ্যালোভেরার অনেক গুনাগুনের মধ্যে আর একটি হল রক্তচাপ কমাতে এর কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।


১৪। ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতে

কিছু ক্ষতিকর পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে তা দেহের জন্য মোটেও ভাল কিছু নয়।এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ প্রয়োজন। অ্যালোভেরার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি প্রবেশ করেও ফেলে, তাহলেও অ্যালোভেরার জুস পানে তা অপসারণ হতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জুসের গুন অপরিসীম।


১৫। চর্মরোগ ও ক্ষত সারাতে

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধিরও কাজ করে থাকে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এই অ্যালোভেরার জুসে। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই অ্যালোভেরা।


১৬। ক্লান্তি দূর করতে

েহের দুর্বলতা দূর করতে অ্যালোভেরার জুসের গুন অনেক। আপনি যদি অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করেন তাহলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহকে সতেজ ও সুন্দর রাখবে।


১৭। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে

অ্যালোভেরার জুসের মধ্যে যে জেল থাকে তার অনেক গুন। এই জেল নিয়মিত পানে পেটের সমস্যা দূর হবে। আর যদি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভাব। এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।


অ্যালোভেরার অসংখ্য উপকারিতার মধ্য আমি এখানে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করেছি। আমি আশা করি, যদি অ্যালোভেরা নিয়মিত আপনি ব্যবহার করেন তাহলে অনেক রোগ-বালাই থেকে আপনি খুব সহজে দূরে থাকতে পারবেন।


 



Comments

Popular posts from this blog

Puthia temple - Intime Alok biswas

তলপেটে ব্যথাবোধ কারণ

 ১। ডাইভারকুলিটিস আমাদের বৃহদান্ত্রের গা ঘেঁষে জন্ম নেওয়া ডাইভারটিকুলায় পানি জমলে সেগুলো ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। এমন কিছু হলে তলপেটের বামপাশে ব্যথার সাঙ্গে সাঙ্গে আপনার জ্বর থাকবে এবং মলের সাথে রক্ত বের হবে। ২। অ্যাপেন্ডিসাইটিস বৃহদান্ত্রের ঠিক বাইরেই অবস্থিত অ্যাপেন্ডিক্স সংক্রমণের শিকার হলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস তৈরি হয়। এক্ষেত্রে, হালকা ব্যথা (পেটের একপাশ থেকে অন্যপাশে স্থানান্তরিত হয় এই ব্যথা), জ্বর, বমিভাব এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। ৩। আইবিএস বা ইররিটেবল বাউল সিস্টেম পেটের হজমসংক্রান্ত সমস্যার কারণে এমনটা হয়। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে এক্ষেত্রে রোগী গ্যাস্ট্রিক, পেটব্যথা ও পেটের ছোটখাটো সমস্যায় ভুগে থাকেন। ৪। আইবিডি বা ইনফ্ল্যামেটরি বাউল ডিজিজ কোলোনের বিভিন্ন অংশকে বাজেভাবে আক্রান্ত করে এই রোগটি। এক্ষেত্রে রোগী তলপেটে প্রচুর ব্যথাবোধ করেন। সেইসাথে, মলের সাথে রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া এবং কোলোনে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। ৫। হার্নিয়া বিভিন্ন অঙ্গের চারপাশে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে হার্নিয়া হয়ে থাকে। এতে করে রোগী হাঁটতে গেলে ব্যথাবোধ করেন। সাথে হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া এবং পেটে বাড়ত...

Intime Alok Biswas